ফেনীর পরশুরামে নিখোঁজ হওয়ার সাত দিন পর নজরুল ইসলাম (৩২) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ পচে গলে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে বলে গ্রামবাসী জানান।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্থানীয়রা একটি মরদেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয় ইউপি সদস্য সরোয়ার চৌধুরীকে খবর দেন। ইউপি সদস্য সরোয়ার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরশুরাম থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ বুধবার সন্ধায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নজরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত নজরুল ইসলাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের মুন্সির খিল গ্রামের আবুল বসরের ছেলে। সে পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। সে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানা যায়।
পরশুরাম থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায় গত পাঁচ অক্টোবর সকালে হঠাৎ নজরুল ইসলাম বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর ভাই আবুল কাশেম পরশুরাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয় নজরুল ইসলাম মানসিক ভাবে অসুস্থ। পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। সে বিবাহিত তাঁর দুই সন্তান রয়েছে।
আবুল কাশেম জানান, নিখোঁজের সাত দিন পর বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় লোকজন দক্ষিণ গুথুমা গ্রামের ভারত সীমান্তবর্তী ২১৫৯ নং পিলার সংলগ্ন একটি গাছের সাথে একটি মরদেহ ঝুলতে দেখে ইউপি সদস্য সরোয়ারুল করিম চৌধুরীকে খবর দেন। আবুল কাশেম আরো জানান, মরদেহ দেখে তাঁর নিখোঁজ হওয়া ভাই নজরুলের বলে নিশ্চিত হয়েছেন। এলাকাবাসীও মরদেহটি নিখোঁজ নজরুলের বলে নিশ্চিত করেছেন।
ইউপি সদস্য সরোয়ারুল করিম চৌধুরী বলেন, পুলিশসহ গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে মরদেহটি নজরুলের বলে নিশ্চিত হয়েছেন। সরোয়ার চৌধুরী আরো বলেন ধারনা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করতে পারে।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাহাদাত হোসেন খান বলেন গত পাঁচ অক্টোবর আবুল কাশেম চৌধুরী তাঁর ভাই নিখোঁজ হয়েছে বলে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য একটি ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদের উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফেনী মর্গে পাঠায়। ওসি আরো জানান সে মানসিক ভারসাম্যহীন এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।